নিউজ ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৩:৩৫

ছোট মেয়েরাই হামলার অস্ত্র বোকো হারামের

প্রথমে শয়ে শয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ। তার পর জোর করে তাদের বিয়ে করে বা অন্য কোনও উপায়ে বন্দি করে রাখা। বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীর এই কীর্তির সঙ্গে এত দিনে অনেকটাই পরিচিত বাইরের দুনিয়া

প্রথমে শয়ে শয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ। তার পর জোর করে তাদের বিয়ে করে বা অন্য কোনও উপায়ে বন্দি করে রাখা। বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীর এই কীর্তির সঙ্গে এত দিনে অনেকটাই পরিচিত বাইরের দুনিয়া।গত শনিবার নাইজেরিয়ায় উত্তরে বর্নোর রাজধানী মাইদুগরির ব্যস্ত বাজারে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় বছর দশেকের এক কিশোরী। প্রাণ হারান ২০ জন। যাতে নাইজেরীয় জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের দিকেই আঙুল উঠেছে। আর তা থেকেই সামনে আসছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা। মেয়েদের অপহরণ করার পরে আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে তৈরি করছে তারা।

 নাইজেরিয়ায় পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই বলছেন, আগে এ রকম প্রবণতা কোনও ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ। মাইদুগরির বাজার সাম্প্রতিক উদাহরণ হলেও বোকো হারাম বেশ কিছু দিন ধরেই অল্পবয়সি কিশোরীদের জঙ্গি হামলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।

মাইদুগরির বাজারের ওই কিশোরী নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার পরে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে, সেখানকার চিকিৎসকরা তার বিকৃত দেহ দেখে অবাক। দেহ দেখে প্রায় কিছু বোঝা না গেলেও মুখের খানিকটা দেখে তাঁরা জানান, এটি একেবারেই অল্পবয়সি এক কিশোরীর।

মাইদুগরির বাজারে নিরাপত্তা নিয়ে বিশাল কড়াকড়ি না থাকলেও মেয়েটি মেটাল ডিটেক্টর ফ্রেমের মধ্যে দিয়ে যখন যাচ্ছিল তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। তার কোমরের কাছে উঁচু কিছু একটা ছিল। পুলিশ সামনে এগোতেই নিজেকে উড়িয়ে দেয় ওই কিশোরী। তবে পুলিশের মত, মেয়েটি হয়তো ঠিকমতো বোঝেওনি ওর শরীরে টাইমবোমা বাঁধা রয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দু’টুকরো হয়ে যায় সে।

পুলিশের বক্তব্য, এই সব মেয়ের হিজাব পরে থাকার সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গিরা। যার ফলে যে কোনও হিজাব পরা মেয়েকেই এখন সন্দেহের চোখে দেখতে হচ্ছে পুলিশকে। তা সে কোনও ছোট কিশোরী হোক বা বয়স্ক মহিলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত