ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৬ জুন, ২০১৫ ২০:৪৩

ইরানকে ঠেকাতে এক হচ্ছে সৌদি আরব-ইসরায়েল!

ইসরাইলের সঙ্গে অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মতোই কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই সৌদি আরবের, ইসরাইলকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। তবে পারমাণবিক বোমা এবং ইরান ইস্যুতে তারা কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সৌদি আরব-ইসরাইলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে পাঁচ দফা গোপন বৈঠক।

বৈঠকের মুল এজেণ্ডা ইরানকে মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ। এ রকম অন্তত পাঁচটি বৈঠক হয়েছে সুন্নি মুসলমানদের নেতৃত্বদানকারী সৌদি আরব এবং বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ ইসরায়েলের মধ্যে। ইসরায়েলের জেরুজালেম পোস্ট শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের এ দুটি দেশই ইরানকে তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। গত বছরের প্রথম থেকেই সৌদি আরব ও ইসরায়েল এমন তৎপরতা শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব হ্রাস করতে 'গোপন কূটনীতি' পরিচালনার লক্ষ্যে ওইসব বৈঠক হয়। এ বৈঠকগুলো হয় ভারত, ইতালি ও চেক রিপাবলিকে।

এ ছাড়া ওয়াশিংটনে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের অনুষ্ঠানেও বৈঠক করেন সৌদি ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এ বৈঠকে সৌদি আরবের পক্ষে ছিলেন দেশটির প্রিন্স বন্দর বিন সুলতানের সাবেক উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক সৌদি রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আনওয়ার মাজেদ ইশকি।

ইসরায়েলের পক্ষে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ মহাপরিচালক দোরে গোল্ড। বৈঠক সম্পর্কে জেরুজালেম পোস্টকে দোরে গোল্ড বলেন, 'আমাদের আজকের এ অবস্থানের অর্থ এই নয় যে, আমরা কয়েক বছর ধরে চলা সব মতপার্থক্য দূর করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আগামী বছরগুলোয় এসব পার্থক্য দূর করার বিষয়ে আশাবাদী।' পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি মতাবলম্বী আরব উপসাগরীয় দেশগুলো বেজায় উদ্বিগ্ন।

এই মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত ইসরাইলের জন্যে আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে ইরান, যারা পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট হয়ে ওঠতে পারে। সেক্ষেত্রে ইসরায়েলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মধ্যপ্রাচ্যে এখন পর্যন্ত একমাত্র ইসরায়েলেরই এমন অস্ত্র বলে ধারণা করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত