ইন্টারন্যশনাল ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৭:৫৬

চলে গেলেন পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর

চলে গেলেন মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশ্নেও সরব ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা গুলাম জিলানি। ২০১৩ সালে বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি গ্রহণ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন এই প্রতিবাদী নারী।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ বোধ করার পর শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রোববার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
 
আসমা জাহাঙ্গীর পাকিস্তানভিত্তিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

আসমা জাহাঙ্গীর বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিচারিক সংস্কারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করেছেন। পাকিস্তানের উইমেন একশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন ৬৬ বছর বয়সী এই মানবাধিকারকর্মী।

আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা সরকারি চাকরি জীবন শেষ করে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর সমালোচনা করে জেলও খেটেছেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই অসামান্য ভূমিকার কারণে ২০১৩ সালে তাকে মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয়। সেবার পাঁচ পাকিস্তানিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। বাবার পক্ষ থেকে সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে আসেন আসমা জাহাঙ্গীর।

মানবাধিকারকর্মী আসমার মরদেহ লাহোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার শেষকৃত্যের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। বিদেশ থেকে তার সন্তানেরা দেশে ফিরে আসলে তাকে সমাহিত করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত