আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ এপ্রিল, ২০১৮ ২১:৩৫

ভারতেও চলছে কোটা সংস্কারের আন্দোলন

শুধু বাংলাদেশের নয় ভারতেও চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। মঙ্গলবার গোটা ভারতে কোটা বিরোধীরা ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিল যা দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ বন্ধকে সমর্থন করলেও কিছু জায়গায় বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশকেও কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। সরকার দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

শিক্ষা ও চাকরিতে জাতি এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কোটার বিরোধিতায় ভারত বন্ধকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্নস্থানে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিহারসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের জেলায় সহিংসতায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। রাজ্যের ছয়টি জেলায় বন্ধ সমর্থকরা রেল ও রাজপথ বন্ধ করা হয়, বাজারের দোকান বন্ধ করে দেয়। ভারত বন্ধ সমর্থকরা মূলত উচ্চশ্রেণীর।

গত সপ্তাহেও ভারতের উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে দলিত গ্রুপের একটি অবরোধকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।

এনডিটিভি প্রতিবেদনে জানা যায়, বিহারের পাটনা, বেগুসারি, লক্ষিসড়াই, মুজাফফরপুর, ভোজপুর, শেখপুরা ও দারভাঙ্গা জেলায় শত শত মানুষ সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে স্থানীয় বাজারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাটনা থেকে ৭০ কি.মি. দূরে কোটা সংস্কারের দাবি উচ্চশ্রেণীর বন্ধ সমর্থক ও বন্ধ বিরোধীতাকারী দলিত শ্রেণীর মধ্যে সংঘর্ষও বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে, গত ২০ মার্চ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর নির্যাতন বন্ধের যে আইন রয়েছে, তা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনো সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দলিতদের বেশ কয়েকটি সংগঠন ভারত বন্ধের ডাক দেয় গত সপ্তাহে। মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও উত্তর প্রদেশে দলিতদের প্রতিবাদ উত্তাল রূপ ধারণ করে। ওই বন্ধে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার বিহারসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের সহিংসতা দেখা দিয়েছে। সহিংসতা ঠেকাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা বাতিল করা হয়েছে।

ভারত বন্ধ সমর্থকরা বলছেন, জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নয়; আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য কোটা রাখা উচিত। যাতে প্রত্যেক সমাজের অনগ্রসর মানুষজন সমাজের মূল ধারায় উঠে আসতে পারে। এনডিটিভি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত