আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ জুন, ২০১৮ ১৪:৩৩

পরমানু নিরস্ত্রীকরণে ট্রাম্প-কিম চুক্তি!

ট্রাম্প-কিমের আলোচিত বৈঠক শেষে সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলায় হোটেল ছেড়েছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতারা। গাড়িবহর নিয়ে হোটেল ছাড়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবেন।

বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে চুক্তিটি কি বিষয়ে ছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প বলেছেন, দলিলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বেশ সুসংহত। কিম ও তিনি এটিতে স্বাক্ষর করতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন বলেও জানান ট্রাম্প।

আর কিম বলেছেন, তারা একটি ঐতিহাসিক বৈঠক করেছেন ও অতীতকে পেছনে ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বৈঠককে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে বিবিসি ও আলজাজিরা বলছে, চুক্তিতে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিম।

বিবিসি'র লওরা বিকারে'র মতে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের প্রধান চারটি পয়েন্ট:

  • যুক্তরাষ্ট্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া নতুনভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হবে, যাতে দুই দেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও উন্নতির বিষয়টি প্রতিফলিত হবে।
  • কোরিয় উপদ্বীপে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে যৌথভাবে কাজ করবে দুই দেশ।
  • ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল পানমুনজাম বিবৃতিতে কোরিয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার রক্ষা করবে কোরিয়া।
  • যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া যুদ্ধবন্দীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। এরই মধ্যে যেসব যুদ্ধবন্দী চিহ্নিত হয়েছেন তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুতই শুরু করবে।

সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই বৈঠক শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা ও কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টর মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল- ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা।

দুই নেতার একান্ত বৈঠক শেষে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প ও কিম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত