সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৮ ০২:০৫

পাকিস্তানে ইমরান খান এগিয়ে

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, জাতীয় পরিষদের ৯৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই।

ডন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআইর পরেই রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তারা এগিয়ে আছে ৬২টিতে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৩০টি আসনে।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৩টি এগিয়ে রয়েছেন। মুত্তাহিদা মজলিস আমল (এমএমএ) এগিয়ে রয়েছে সাতটি আসনে ও গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) এগিয়ে আছে সাতটি আসনে।

এর আগে সহিংসতা, বোমা হামলা, নানা অভিযোগের ঘটনাবহুল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দেশটিতে ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন বলছে, জাতীয় পরিষদের ২৭২ আসনের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন হাজার ৪৫৯ প্রার্থী। এরমধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাব থেকেই এক হাজার ৬২৩ জন, সিন্ধ থেকে ৮২৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ৭২৫ জন ও বেলুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন। এছাড়া দেশটির দুটি আসন এনএ-৬০ ও এনএ-১০৮ এ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

কোনো একক দল ক্ষমতায় যেতে হলে থলেতে ভরতে হবে কমপেক্ষ ১৩৭ আসন; তবেই দেশ শাসনের জন্য সরাসরি সরকার গঠন করতে পারবে। এছাড়া কোনো দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে তাহলে ঝুলে যাবে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। দ্বারস্থ হতে হবে ছোট-খাট দলগুলোর; জোট গঠন করে তবেই মসনদে যেতে হবে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে এগিয়ে রেখেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। এক প্রতিবেদনে ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খানই রয়েছেন এগিয়ে।

মধ্য-ডানপন্থী পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের এই প্রধান দুর্নীতিবিরোধী প্ল্যাটফর্মে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি নওয়াজ শরিফের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছেন ৬৫ বছর বয়সী ইমরান।

লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় ও কর ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-পাচার এবং বিদেশে কোম্পানি খোলার দায়ে অভিযুক্ত নওয়াজকে গত বছর দেশটির আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। ২০১৫ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নওয়াজের নাম আসার পর দেশটির আদালত তদন্ত শুরু করে।

এই তদন্তে অবৈধ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। কার্যত কোণঠাসা নওয়াজের দল যে এবারের নির্বাচনে জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হতে যাচ্ছে সেই ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত