আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০১৮ ১৩:৫৭

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে মুক্তমনাদের গুলির নির্দেশ দিতাম’

মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে তীব্র উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন ভারতের কর্ণাটক প্রদেশের বিজয়পুরার বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাটিল ইয়াৎনাল। এই কর্ণাটক এলাকাতেই বাড়িতে ঢুকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছিল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক এম এম কালবুর্গিকে। সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশকেও গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ইয়াৎনাল এই উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘এই সব লোকেরা (যুক্তিবাদী ও মুক্তমনা) আমাদের দেশে থেকে আমাদের দেওয়া করের টাকায় সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেয়। তারপর ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। দেশের জন্য এই সুশীল সমাজ ও ধর্মনিরপেক্ষতার চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে এই সব বুদ্ধিজীবীদের গুলি করার নির্দেশ দিতাম।’’

এসময় ইয়াৎনাল যুক্তিবাদী ও মুক্তমনাদের দেশদ্রোহী আখ্যাও দিয়েছেন।

এদিকে ইয়াৎনালের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইয়াৎনালের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিএস উভয় দলই।

ইয়াৎনালের শাস্তির দাবিতে সরব কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও বলেন, “দেশে অস্থিরতা ও বিভেদ তৈরি করতে গোটা দেশেই এই ধরনের মন্তব্য করছেন বিজেপি নেতারা। বিধায়কের মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার, নিজেদের গোঁড়া মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে খুন করতেও তাঁরা দ্বিধা করেন না।”

বিজেপির প্রবীণ এই নেতা লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা। কর্ণাটকের বিজেপি সভাপতি তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়াদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ তিনি। বাজপেয়ী সরকারে আমলে বস্ত্র ও রেল প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। তবে বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক মন্তব্যে বরাবরই বিতর্ক বাধিয়েছেন তিনি।

এত বিতর্কের পরও কিন্তু ইয়াৎনাল নিয়ে বরাবরই মৌনব্রত অবলম্বন করেছে তাঁর দল। মাস খানেক আগের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গেও ইয়েদুরাপ্পা বা অন্য কেউ মুখ খোলেননি। এ বারও বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া বা ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের বক্তব্য, মৌন থেকে আসলে এই ধরনের উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যকে সমর্থনই করছে বিজেপি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত