২১ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:৪৭
ভারতের এলাহাবাদে বদ্ধ একটি ঘরের ভেতরে তিন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ আগস্ট) ভেতর থেকে আটকানো ঘরটির দরজা ভেঙে ঢোকার পর এ মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ফ্রিজে মেলে তার স্ত্রীর লাশ। ছোট দুই মেয়ের লাশ ছিল স্যুটকেস ও আলমারিতে। আর পাশের কক্ষে পাওয়া যায় আরেক মেয়ের লাশ।
পুলিশ কর্মকর্তা নিতিন তিওয়ারি বলেন, 'স্ত্রী ও তিন মেয়েকে হত্যার পর মনোজ কুশওয়াহা নামের ওই লোক আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে হচ্ছে।'
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক বিবাদ কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ থেকে মনোজ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ে তামিলনাডুর এক নারী দুই শিশু সন্তানকে প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছিলেন। মিথ্যা অভিযোগে সন্তানদের সামনে অপমান ও লাঞ্ছনা করায় স্বামীকে দায়ী করে সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছিলেন তিনি।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে ঝাড়খান্ডের হাজারিবাগেও এক পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুইজনের দেহ ছিল ঝুলন্ত অবস্থায়। গলাকাটা লাশ ছিল দুটি। একজনকে অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট শিশুটিকেও বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
এনডিটিভি জানায়, মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া সুইসাইড নোটের একটি থেকে ঝাড়খান্ডের এই পরিবারটির ৫০ লাখ রুপি দেনা ছিল বলে জানা যায়। ঋণ শোধের কোনো উপায় না থাকায় এ পথ বেছে নেওয়া হয়েছে, নোটটিতে এমনটাই লেখা ছিল।
আপনার মন্তব্য