অনলাইন ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৪:৩৩

সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছে কানাডা

কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব থাকছে না মিয়ানমারের নেত্রী অং আন সু চির। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে কানাডার পার্লামেন্টে। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে সু চির ব্যর্থতার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।

সামরিক শাসনের অধীনে থাকা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংগ্রামের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান সু চি। ২০০৭ সালে কানাডা তাঁকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেয়। সু চিসহ এখন পর্যন্ত কেবল ছয়জন ওই বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত সু চির কানাডার নাগরিকত্ব প্রাপ্য কি না, পার্লামেন্ট সেটিকে পুনর্বিবেচনা করছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এমন বক্তব্যের একদিন পরই দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা সু চির নাগরিকত্ব বাতিলের এ প্রস্তাবে সম্মতি জানালেন।

কিন্তু কেবল এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশ মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রাষ্ট্রহীন লাখ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গার অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার শেষ হয়ে যায় না বলেও উল্লেখ করেন ট্রুডো। এর চলতি মাসের শুরুতে কানাডার পার্লামেন্ট মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ অভিহিত করে আরেকটি বিল পাস করে।

গত মাসে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপরে চালানো গণহত্যার অবশ্যই তদন্ত হতে হবে বলে জোরালো দাবি করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত