সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৫

রোহিঙ্গা সঙ্কটের আন্তর্জাতিকীকরণ চায় না চীন

রোহিঙ্গা সঙ্কটের আন্তর্জাতিকীকরণ চায় না চীন। এপ্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এ সঙ্কটকে জটিল বা বিস্তৃত করা ঠিক হবে না।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমন এক সময় মি ওয়াং ই একথা বললেন যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক বক্তৃতায় বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার কথা মিয়ানমার মৌখিকভাবে বললেও বাস্তবে তারা কোন কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।

চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, "রাখাইন প্রদেশের ইস্যুটি মূলত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার একটি সমস্যা। এ ইস্যুটিকে জটিল, বিস্তৃত বা আন্তর্জাতিকীকরণ হোক - এতে চীনের সম্মতি নেই।"

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ - রাখাইন প্রদেশ ইস্যুটি যথাযথভাবে সমাধানের জন্য একটি চারদফা নীতিতে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছে।

ওয়াং ই আশা প্রকাশ করেন যে দু্টি দেশই আলোচনার মাধ্যমে অসুবিধাগুলো দূর করে একসাথে এর সমাধান বের করবে।

রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দ্রুততর করাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ - বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অফিসের মন্ত্রী কায়য়ো টিন সোয়ে। এরপর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, "চীন আশা করে, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করবে।"

বলা হয়, এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের যোগাযোগ রক্ষার প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে চীন।

এরই মধ্যে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লংঘনের তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে জাতিংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে উদ্যোগ নিয়েছে - তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে চীন।

গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর প্রায় তিনমাস পর গত বছরের নভেম্বর মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছিল যে চীনের চাপে পড়েই বাংলাদেশ সে সমঝোতা স্বাক্ষর করে।

এখন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবার বিষয়ে মিয়ানমারের কোন কার্যকর ভূমিকা না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার কথা মিয়ানমার মৌখিকভাবে বললেও বাস্তবে তারা কোন কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত