আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:০৩

ইন্দোনেশিয়ায় নিহত ২৮১, ফের সুনামির আশঙ্কা

ইন্দোনেশিয়ায় আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে সুন্দা প্রণালিকে ঘিরে থাকা সৈকত এলাকায় ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এতে কমপক্ষে ২৮১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ১৬ জন। স্থানীয় সময় রোববার নতুন করে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ায় সেখানে আবারও সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিবিসির খবরে জানা যায়, আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধস হয়। এতে সাগরের পানি বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক ঢেউ হয়। রোববার আনাক ক্রাকাতোয়া থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। সেখানে ছাই ও ধোঁয়া উড়ছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান সুতোপো পুরও নুগ্রহ এক সংবাদ সম্মেলনে বাসিন্দাদের সৈকতে অবস্থান না করে অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সেখানে আরও সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, আনাক ক্রাকাতোয়া থেকে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে।

ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ১৯২৭ সালে আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে সেটি সক্রিয় ছিল। এ কারণে লোকজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছিল।

শুক্রবার ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ড ধরে লাভা বের হয়। এতে পাহাড়ের ৪০০ মিটার ওপর পর্যন্ত ছাই উড়তে থাকে।

এর আগে সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।

আগ্নেয়দ্বীপ ক্রাকাতোয়ায় ১৮৮৩ সালে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই সময়ও ১৩৫ ফুট উঁচু ঢেউ নিয়ে সৈকতে আঘাত হানে সুনামি, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সে সময় সাগরে ভেসে যায়।

দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকার পর সাম্প্রতিক সময়ে ক্রাকাতোয়া আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত শুক্রবার ওই আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায় সোয়া দুই মিনিট উদগীরণ হয়। এর ফলে পর্বতের ১৩০০ ফুট উঁচু পর্যন্ত ছাইয়ের মেঘ ছড়িয়ে পড়ে।

২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত