ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৫ ১৬:৪৭

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ ভুল হবে: সাক্ষাৎকারে কেরি

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিলে তা হবে ভয়াবহ ভুল। এক সাক্ষাৎকারে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা বলেন। খবর :এএফপি ও রয়টার্স।

গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসির একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, গত সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করার ফলে দেশটির ওপর ইসরায়েলের সামরিক বা সাইবার হামলার আশঙ্কা বেড়েছে কি-না। এর জবাবে কেরি বলেন, 'এটি হবে ভয়াবহ একটি ভুল। এটি হবে ইসরায়েল ও ওই অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনা বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।'

একই দিন নিউইয়র্কে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসকে জন কেরি বলেন, 'কংগ্রেস যদি চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে তবে হয়তো ইসরায়েলে আমাদের বন্ধুরা আরও একঘরে হয়ে পড়বেন। আরও বেশি দোষারোপের শিকার হবেন।'

১৪ জুলাই ইরানের সঙ্গে করা ছয় বিশ্বশক্তির চুক্তিটি এখন পর্যালোচনা করছে মার্কিন আইন পরিষদ কংগ্রেস। এটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন আইনপ্রণেতারা। চুক্তিটি কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করলে ভবিষ্যতে কী হতে পারে- এ বিষয়ে জন কেরি বলেন, 'কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে তখন আমরা ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন হারাব। কেননা, খুবই বৈধ একটি কর্মসূচি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। যে কর্মসূচি দিয়ে আমরা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আগামী কয়েক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করতে পারতাম।'

এ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরান কী ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আগামী সপ্তাহে কাতারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাতে এ নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সম্মত হওয়া পরমাণু চুক্তি অনুসারে দীর্ঘ মেয়াদে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত থাকবে। বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। এদিকে, ইরান পরমাণু চুক্তি ভঙ্গ করলে জন কেরি সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন বলে তার সমালোচনা করেছে তেহরান।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রয়োগের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছেন। জারিফ এটিকে অসার হুমকি বলে মন্তব্য করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত