সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৩:৫৮

ব্রেক্সিট: থেরেসা মের পরাজয়

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটিতে বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে সদস্যদের ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটে হারলেন থেরেসা মে। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মোট ৪৩২টি ভোটের মধ্যে ২০২টি ভোটই থেরেসা মের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে পড়েছে।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন কোনো দলের জন্য এটি সবচেয়ে বড় পরাজয় বলে জানায় বিবিসি।

টানা পাঁচ দিন আলোচনার পর পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। থেরেসা মের এই পরাজয়ের পর যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে অর্ধ শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশটি।

উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ব্রিটেনের।

লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন শিগগিরই সরকারে প্রতি অনাস্থা ভোট প্রদান করবেন বলে জানা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যেটি যুক্তরাজ্যকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দিকে ঠেলে দেবে। জেরেমি করবিন এটিকে সরকারের চরম ব্যর্থতা উল্লেখ করে বলেন, এটি সরকারে জন্য চরম বিপর্যয়।

ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য থেরেসা মের খসড়া চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ছিল এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠান। থেরেসা মের প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিটি অধিকাংশ সাংসদরা বাতিল করায় থেরেসা মের সামনে এখন দুইটা পথ খোলা আছে। প্রথমত, চুক্তির নতুন খসড়া তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময় বাড়িয়ে নেওয়া। তা না হলে কোনো রকমের চুক্তি ছাড়াই ২৭টি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে ব্রিটেনকে। এতে বেশ বড়সড় সংকটে পড়বে দেশটির অর্থনীতি তথা সামাজিক অবস্থা।

ব্রেক্সিট চুক্তির অন্যতম বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচিত ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ কীভাবে পরিশোধ করবে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জোটের অন্য দেশগুলোর প্রায় ৩২ লাখ মানুষের অবস্থান কি হবে কিংবা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রায় ১৩ লাখ নাগরিকের ভবিষ্যৎই বা কি হবে এগুলোও চুক্তির মধ্যে ছিল। এগুলো ছাড়া নর্দান আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সমস্যার বিষয়টি তো ছিলই।

এসব বিষয়ের খসড়া চুক্তিতে যেসব সমাধান দিয়েছেন থেরেসা মে তা বেশির ভাগ সদস্যদেরই পছন্দ হয়নি। খসড়া চুক্তিটি ৬৫০ সদস্যের পার্লামেন্টে তুলেছিলেন মে।

এদিকে এভাবে হেরে যাওয়ার পর থেরেসা মে বলছেন, এ নিয়ে বুধবার আবার আলোচনা হবে। এরপর একটা পথ বের করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত