নিউজ ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৫ ২৩:৩০

মুক্তি পেল মিয়ানমারের সাত হাজার বন্দি

মিয়ানমারে প্রায় সাত হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বন্দিদের মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দেড়শরও বেশি চীনা নাগরিক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমার আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মিয়ানমারের সরকারি সূত্রে জানা গেছে এ খবর।

১৫০ চীনাসহ ক্ষমাপ্রাপ্তের ২১০ জন হলেন বিদেশি নাগরিক। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মিয়ানমারের রাজনৈতিক বন্দিরা আছেন কি-না, তা পরিষ্কার করে জানানো হয়নি।

১৫০ চীনা নাগরিকের মুক্তির ব্যাপারটা চীনের রাষ্ট্রীয় খবর সংস্থাও জানায়। তাদের কারাদণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধ হয় চীন। এ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার অনেক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এটাই সর্বশেষ ক্ষমা ঘোষণা। ২০১০ সালে সেনা শাসনের অবসানের পর তাদেরই পছন্দ অনুযায়ী থেইন সেইন ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক কারণে বন্দিদের পর্যায়ক্রমে মুক্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংস্কারের অংশ হিসেবে অধিকাংশ রাজনৈতিক বন্দিকে এরই মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের ইরাবতী সংস্থার মতে, এখনও রাজনৈতিক কারণে ১৫০ জন বন্দি কারাগারে আছেন। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নামের একটি সংগঠনের বরাত দিয়ে তারা এ খবর দেয়।
গতকাল যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৮ সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাও রয়েছেন। ২০০৪ সালে জান্তা সরকার তাদের কারাগারে পাঠিয়েছিল।

চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ হলেও ১৫৫ চীনা নাগরিককে মিয়ানমারে ঢুকে অবৈধ কাঠ পাচারের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশও করেছিল। প্রেসিডেন্টের ক্ষমার আওতায় তাদের নাম ঢুকিয়ে মিয়ানমার বৃহৎ প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশকে খুশি করেছে বলা যায়।

এএফপি, রয়টার্স।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত