আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১২:৪০

কাশ্মীরে গাড়িবোমা হামলায় নিহত ৪০

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) বাসে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন ভারতীয় আধাসামরিক সেনা নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের ওপর সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর জওয়ানদের গাড়িবহরে হামলা চালায় জঙ্গিরা।

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জৈশ-ই-মহম্মদ। জঙ্গি হামলার পরই রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার লেথপোরা এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আদিল আহমেদ ওরফে ওয়াকার নামে পুলওয়ামার স্থানীয় নাগরিক বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি চালিয়ে সিআরপিএফ-এর গাড়িবহরে ঢুকে পড়ে এবং সেনা বহনকারী একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল বিস্ফোরণে এলাকা কেঁপে ওঠে। বাসের আরোহী জওয়ানরা চারদিকে ছিটকে পড়ে। আহতদের শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জওয়ানদের গাড়িবহরে অন্তত ৭০টিরও বেশি গাড়ি ছিল, তাতে ২৫০০-এর বেশি জওয়ান ছিলেন। সেগুলো জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। এর মধ্যে দুটি গাড়িকে লক্ষ্য করেছিল জঙ্গিরা। একটি গাড়ি বিস্ফোরণে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আরেকটি গাড়িতে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে আদিল ওই জঙ্গি সংগঠনটিতে যোগ দেয়। এদিন তার গাড়িটিতে প্রায় ৩৫০ কিলোগ্রাম ওজনের বিস্ফোরক পদার্থ ছিল বলে জানা গেছে।

সাম্প্রতিক এটিই কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় ১৯ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর  আগে ২০০১ সালে কাশ্মীর বিধানসভায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত