আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৪:২৪

কাশ্মীরে কারফিউ, সেনা মোতায়েন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪৪ জওয়ান নিহতের প্রতিবাদ বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে জম্মু শহর। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ফলে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ভয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কারফিউ জারি এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

হামলাকারীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পার্ক করে রাখা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় সিআরপিএফের বহু জওয়ান হতাহতের প্রতিবাদে জম্মুতে শুক্রবার সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী স্লোগান দেন ও বিভিন্ন প্রতিবাদী দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় এদিন সড়ক অবরোধ করে সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্ষুব্ধ জনতা।

ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বজরং দল, শিবসেনা ও ডোগরা ফ্রন্টের নেতৃত্বে মোমবাতি মিছিল করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সেখানকার জনতা। বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালানোসহ সড়কে থাকা অনেক গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। দিনভর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জনসাধারণকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার জম্মুর গুজ্জরনগরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। জম্মু ট্যুরিস্ট সেন্টারের সামনে একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানকার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্যের আর্জি জানান।

জম্মুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রমেশ কুমার বলেন, আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করেছি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় সিআরপিএফের প্রায় ৭৮টি গাড়ি লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলায় প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ৪৪ জন জওয়ান নিহত হয়।

হামলার পর দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মুহাম্মাদ নামের একটি সংগঠন। যাদের অবস্থান পাকিস্তান সীমান্তে।

ভারতের দাবি, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। এ ইস্যুতে পাকিস্তানকে একঘরে করার ঘোষণাও দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত