ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০১৫ ০১:১৭

মোল্লা মনসুরকে নেতা হিসেবে মানছে না তালেবানদের অনেকেই

তালেবানদের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যু খবরের নিশ্চিতের পর দলটির নতুন নেতা হিসেবে মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মনসুরকে মেনে নিতে আপত্তি জানিয়েছে তালেবান অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা। এ দলে আছেন সাবেক প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের পুত্র এবং ভাইও।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে নতুন নেতা হিসেবে মনসুরের নাম ঘোষণা করে। এর একদিন আগে আফগানিস্তান সরকার পাকিস্তানের করাচিতে মোল্লা ওমর মারা গেছেন বলে ঘোষণা দেয়।

বর্তমান নেতার মৃত্যুর খবর এবং নতুন নেতার নাম ঘোষণা করার আগের দিন বুধবার জঙ্গি সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে নতুন নেতা হিসেবে মোল্লা মনসুরের নাম ঘোষণা করার পর একটি পক্ষ এতে আপত্তি জানায় এবং প্রতিবাদে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন মোল্লা ওমরের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন ৫০ বছর বয়সী মোল্লা মনসুর। গত কয়েক বছর ধরে কার্যত তিনিই দল পরিচালনা করছিলেন।

১৩ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের উদ্যোগে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। শান্তি আলোচনা বিষয়ক প্রথম বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন মোল্লা মনসুর।

কিন্তু তালেবানদের শক্তিশালী একটি অংশ শান্তি আলোচনা বিরোধী। তারা চাইছে ওমরের ছেলে ইয়াকুব দলের দায়িত্ব গ্রহণ করুক।

বুধবারের বৈঠক থেকে ইয়াকুব, ওমরের ছোট ভাই আব্দুল মানানসহ এক ডজনের বেশি নেতা বের হয়ে যান। পাকিস্তানের শহর কোয়েটায় বৈঠকটি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কোয়েটায় তালেবানের জ্যেষ্ঠ এক সদস্য বলেন, “এটা আসলে তালেবানদের প্রধান নেতা নির্বাচন করার বৈঠক ছিল না। বরং কিভাবে নেতা নির্বাচন করা হবে সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য মনসুর দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ডেকেছিলেন। বিষয়টি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়াকুব ও মানান সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান।”

শান্তি আলোচনা নিয়ে এমনিতেই তালেবানদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ইসলামিক স্টেটও দলটির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মনসুর এক অডিও বার্তায় দলের নেতাদের একজোট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মনসুর বলেন, “যোদ্ধাদের একজোট থাকা উচিৎ। কারণ আমাদের মধ্যে বিভক্তি শুধু মাত্র আমাদের শত্রুদের খুশি করতে পারবে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত