আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৯ ২২:১৩

নেদারল্যান্ডসেও ঠাঁই হচ্ছে না শামীমার

লন্ডন থেকে আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগমকে আশ্রয় না দেবে না তার স্বামীর দেশ নেদারল্যান্ডসও। ডাচ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোন ডাচ নাগরিক তার বান্ধবী বা স্ত্রীকে নেদারল্যান্ডে আনতে চাইলে স্ত্রীর বৈধ ডাচ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ডাচ নাগরিক ইয়াগো রিয়েদিজিকের বিয়ের সময় শামীমা প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলো না। তাই এ বিয়েও ডাচ আইন অনুযায়ী বৈধ নয়। ডাচ কর্তৃপক্ষ এও বলেছে, শামীমা ও তার সন্তান দেশটির নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যতে হুমকি হতে পারে।

রোবার প্রকাশিত বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শামীমাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডে বসবাস করতে চান তার স্বামী ডাচ নাগরিক ইয়াগো রিয়েদিজিক। বর্তমানে একটি কুর্দি কারাগারে বন্দী থাকা রিয়েদিজিক বিবিসিকে জানান, স্ত্রী শামীমা ও সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে নিজ দেশ নেদারল্যান্ডে বসবাস করাই এখন তার ইচ্ছে।

২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসের উদ্দেশ্যে লন্ডন ছেড়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা। পরে সিরিয়ায় নেদারল্যান্ড থেকে আসা আইএসের নওমুসলিম ইয়াগো রিয়েদিজিককে বিয়ে করে সে। আগের দুই সন্তান নষ্ট হওয়ার পর গত মাসে সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন শামিমা।

এর আগে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে। যেহেতু শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্য সেহেতু ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। কিন্তু পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শামীমাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।

আইএস বধূ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ও তার স্বামী ডাচ নাগরিক ইয়াগো রিয়েদিজিক।

বর্তমানে ইয়াগো রিয়েদিজিকের বয়স ২৭। ২০১৫ সালে রাকায় শামীমাকে বিয়ে করার সময় তার বয়স ছিলো ২৩ বছর। তিনি বলেন, কম বয়সী হওয়ায় প্রথমে শামীমাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। পরে শামীমার ইচ্ছাতেই বিয়ে হয়।

আইএসের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিরোধ দেখা দেয়ায় রিয়েদজিককে ডাচ চর আখ্যা দিয়ে রাকা শহরে আটক করে রাখা হয়েছিলো। পরে শামীমাকে নিয়ে রাকা থেকে পালিয়ে এসে সিরিয়ার একটি যোদ্ধা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। অন্যদিকে, সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেয়ার অপরাধে ৬ বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন রিয়েদিজিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত