আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ এপ্রিল, ২০১৯ ১১:৩০

ব্রেক্সিট ইস্যুতে করবিনের সাথে সমঝোতার চেষ্টা মের

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানাতে পারেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

মঙ্গলবার ইইউয়ের সঙ্গে একটি বিচ্ছেদ চুক্তির বিষয়ে বিরোধী লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ জানাতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আরেকটি চুক্তি হলেও তার নিজের বিচ্ছেদ চুক্তিটি তার অংশ হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় আসার প্রায় তিন বছর পার হওয়ার পরও যুক্তরাজ্য কীভাবে, কখন বা তারা আদৌ ইউরোপীয় এই ক্লাবটি ছাড়বে কিনা তা পরিষ্কার হয়নি।

ব্রেক্সিটের গোলকধাঁধাঁ থেকে বের হওয়ার পথ কী হতে পারে তা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হিসেবে সাত ঘন্টা পার করার পর তড়িঘড়ি করে তৈরি এক বিবৃতিতে মে বলেন, ব্রেক্সিটের সময়সীমা ১২ এপ্রিলের পর আরও অল্প কিছুদিন বাড়াতে চাইছেন তিনি।

তার এসব পদক্ষেপে এ ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে, ব্রেক্সিটের পর ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক আগে যেমনটি ভাবা হয়েছিল হয়তো তার চেয়েও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়ে যাবে।

কিন্তু তার রক্ষণশীল দলের যেসব এমপিরা ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ আরও সুস্পষ্ট করতে চান তারা এতে বেঁকে বসতে পারেন।

এ ঝুঁকি সত্বেও মে বলেছেন, ইইউ ত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ও একটি চুক্তির মাধ্যমে তা করার জন্য আমাদের দুজনেরই সমর্থন থাকবে এমন একটি চুক্তির বিষয়ে সমঝোতার জন্য বিরোধীদলের নেতার সঙ্গে বসার প্রস্তাব দিচ্ছি আমি। এর জন্য আর্টিকেল ৫০ (বিচ্ছেদের প্রজ্ঞাপন) এর সময়সীমা আরও বাড়ানো দরকার, তবে তা যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে এবং তা আমাদের একটি চুক্তি পাস হওয়ার মাধ্যমে শেষ হবে। কেন এ সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে সে বিষয়টি পরিষ্কার থাকা দরকার, এটি করা হচ্ছে সময়মতো ও সুশৃঙ্খলভাবে আমরা যেন বের হতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য।

করবিন জানিয়েছেন, তিনি মে-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে ‘খুব খুশি’ হবেন এবং আলোচনার আগে তিনি কোনো সীমা নির্ধারণ করবেন না।

তিনি জানিয়েছেন, ইইউয়ের সঙ্গে একটি ‘কাস্টম ইউনিয়ন’ বজায় রাখা, এর একক বাজারে ব্রিটেনের প্রবেশ ও শ্রমিকদের সুরক্ষা, এগুলোই তার দলের লক্ষ্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত