সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:১৫

বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডেভিড ম্যালপাস।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে মনোনীত করেন বলে সংস্থাটির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আগামী মঙ্গলবার থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের নেতৃত্ব দেবেন ম্যালপাস।

নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ব ব্যাংকের যে কোনও সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিই চেয়ারম্যান হতে পারেন। কিন্তু ওই ব্যাংকের জন্মের পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকানরাই তার প্রেসিডেন্ট হয়ে আসছেন। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের সর্বোচ্চ পদে সব সময় কোনও না কোনও ইউরোপীয় নির্বাচিত হন। আগামী সপ্তাহেই বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের যৌথ বৈঠক হবে। তার আগে শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষিত হওয়া প্রত্যাশিত ছিল।

ওই পদে ম্যালপাস বাদে আর কোনও প্রার্থী ছিলেন না। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাকে মনোনীত করে। তখন অনেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি বানচাল করে দেওয়ার জন্যই ম্যালপাসকে প্রেসিডেন্টের পদে বসাতে চাওয়া হচ্ছে।

৬৩ বছরের ম্যালপাস বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কঠোর সমালোচক। তার মতে, ওই সংস্থাগুলি যেভাবে ঋণ দেয়, তাতে কারও উপকার হয় না। তারা বিশেষভাবে চীনের প্রতি খুব উদারতা দেখায়। কিছুদিন আগে অবশ্য তিনি সুর নরম করে বলেন, বিশ্বব্যাংক যেভাবে চরম দারিদ্র দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে, তা তিনিও সমর্থন করেন। কিন্তু গত বছর বিশ্বব্যাংকে যে সংস্কার করা হয়েছিল, তার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের শীর্ষপদে যেভাবে আমেরিকান অথবা ইউরোপীয়রা বরাবর মনোনীত হয়ে আসছেন, সম্প্রতি তাতে আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তাদের দাবি সংস্থার শীর্ষ কর্তাকে বেছে নিতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের বড় অংশীদাররা কেউ এই দাবিকে সমর্থন করেনি।

বিশ্বব্যাংক অবশ্য দাবি করেছে, ওই ধরনের সমালোচনার কথা মাথায় রেখেই শীর্ষপদে নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে আরও খোলামেলা করা হয়েছে।

ম্যালপাসের নির্বাচনের পরে নতুন করে একদফা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ নিজের দেশেই তিনি জনপ্রিয় নন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই দলের সদস্যরাই তার সমালোচনা করেন। গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়গুলি সামলাতে তিনি কতদূর দক্ষ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত