সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:৪৯

ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক এক সহকর্মী। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তার, দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। এমন অভিযোগ ওঠায় দেশের ‘বিচারব্যবস্থা বিপন্ন’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সুপ্রিম কোর্টেরই ৩৫ বছর বয়সী প্রাক্তন এক নারী কর্মী।

সুপ্রিম কোর্টের ২২ বিচারককে চিঠি লিখে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১০ এবং ১১ অক্টোবর তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন রঞ্জন গগৈ।

চিঠিতে ওই নারী লেখেন, ‘উনি (রঞ্জন গগৈ) আমার কোমর জড়িয়ে ধরে সারা শরীর স্পর্শ করছিলেন। আমি নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলেও উনি আমাকে জোর করে ধরে রেখেছিলেন।’

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার এমন অভিযোগ আসার পরই জরুরি ভিত্তিতে শনিবার শুনানির ডাক দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।

সেই বেঞ্চের প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত রঞ্জন গগৈ শুনানির সময় বলেন, ‘এই অভিযোগ অবিশ্বাস্য। এই অভিযোগ অস্বীকার করতে গেলেও যতটা নিচে নামতে হয়, তার জন্য আমি প্রস্তুত নই।’

এই মামলায় প্রধান বিচারপতি কোনো রায় দেবেন না। প্রবীণতম বিচারপতি অরুণ মিশ্রই এই মামলায় রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই অভিযোগের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলেও মন্তব্য প্রধান বিচারপতির, ‘নিশ্চিতভাবেই এই সমস্ত অভিযোগের পেছনে কোনো একটা শক্তি কাজ করছে, যারা প্রধান বিচারপতির অফিসকেই নিষ্ক্রিয় করে দিতে চাইছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সেই কারণেই এই রাস্তা বেছে নেয়া হচ্ছে। ২০ বছর ধরে চাকরি করার পর আমার ব্যাংক একাউন্টে আছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আমার পিওনের কাছেও এর থেকে বেশি টাকা আছে। ২০ বছর ধরে চাকরি করার পর এটা কি প্রাপ্য ছিল আমার?’

সুপ্রিম কোর্ট পুরো বিষয়টিতে সংবাদমাধ্যমকে সংযত এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেছেন।

বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেছেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ এলে বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নড়ে যেতে পারে।’ এই মামলার রায় ভবিষ্যতে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত