আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৯ ১২:০৫

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত ৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত চারজন নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে।

বিজেপির দাবি, শনিবার (৮ জুন) তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় তাদের তিন কর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

আর তৃণমূলের দাবি, বিজেপিই তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এক কর্মী নিহত হন।

তবে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা জানায় তারা।

ঘটনার পর এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

শনিবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি এলাকা। এদিন সন্দেশখালির নেজাট থানা এলাকার হাটগাছি অঞ্চলে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গুলি বিনিময়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গুলির সঙ্গেই মুহুর্মুহু বোমাবাজিও চলতে থাকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

সন্দেশখালির হাটগাছিতে লোকসভা ভোটে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকাটি উত্তপ্ত ছিল।

অভিযোগ উঠেছে, শনিবার বিজেপির পতাকা খুলতে যায় তৃণমূলের লোকজন। বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের আক্রমণে তাদের তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দলটির আরও দাবি, আরও প্রায় ১৫ জন কর্মী ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। বিজেপির হামলায় কাইয়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর ২৪ পরগণার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।  

সংঘর্ষের ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তবে এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৮।

অন্য দিকে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ২২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৩৪টি আসন। বিজেপির দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সন্ত্রাস করে তাদের কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৬ বছরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাদের ৫৪ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করে আসছে বিজেপি।

এই অভিযোগের প্রতিবাদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত