আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ আগস্ট, ২০১৯ ১২:০৭

কাশ্মির ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানকে সংযত থাকার আহ্বান জাতিসংঘের

ভারত শাসিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শঙ্কা

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানকে সংযত ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, ভারত শাসিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে সব পক্ষকেই বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মহাসচিব।

‘তবে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে বিধিনিষেধ আরোপে ওই অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি (গুতারেস)।’

এদিকে, কাশ্মীর সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি বদলাবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান ওরতেগাস।

কাশ্মীর ইস্যুটিকে বরাবরই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে আসছে মার্কিন প্রশাসন। দু’পক্ষের আলোচনার মাধ্যমেই এ সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। তবে, এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিল তারা।

কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি গ্রহণের সম্ভাবনা আছে কি-না, শুক্রবার (৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওরতেগাস বলেন, না। যদি থাকেও, অবশ্যই আমি সেটা এখানে ঘোষণা করতাম না। কিন্তু না, এ ধরনের কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমরা সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাই। আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতি চাই। এবং অবশ্যই কাশ্মীর বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনাকে সমর্থন জানাই।

গত সোমবার (৫ আগস্ট) রাজ্যসভায় ভারত শাসিত কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে লোকসভায়ও পাস হয় এ বিল। এ নিয়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার আশঙ্কায় আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। আটক করা হয়েছে সেখানকার শীর্ষ নেতাদের। চলমান ১৪৪ ধারার মধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে অন্তত তিন শতাধিক মানুষ।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য, কূটনীতি, রেল যোগাযোগ বন্ধ ও সিনেমা প্রচার নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান।বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত