সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ আগস্ট, ২০১৯ ২১:২১

কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি শিথিল হচ্ছে, নেতাদের মুক্তি অনিশ্চিত

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে টানা ১২ দিন পর কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় টেলিফোন সেবা চালু হয়েছে। লোকজন চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে, সড়কে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বহাল রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে উঠিয়ে নেওয়া হলেও আটক কাশ্মীরি নেতারা কবে মুক্তি পাবেন তা বলা যাচ্ছে না।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল জানান, কাশ্মীরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আগামী সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে আবারও চালু হচ্ছে। ওইদিন থেকে সরকারি অফিসগুলোও পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করবে। আটক কাশ্মীরি নেতারা কবে নাগাদ মুক্তি পাবেন এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রোহিত কানসাল জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কাশ্মীরের ৯৬টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে মোট ১৭টি ফের কাজ করতে শুরু করছে। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার ল্যান্ডলাইন ফোন এখন সচল। এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরের সড়কগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছেই, রয়েছে ব্যারিকেডগুলোও। পরিচয়পত্র পরীক্ষার পরই স্থানীয়দের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। উপত্যকায় কিছু কিছু দোকানপাট খুললেও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুয়েল স্টেশন বন্ধ রয়েছে।

হিন্দু অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চলের টেলিফোন-মোবাইল সেবা পুরোদমে চালু করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পাঁচটি জেলায় ২জি মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় গত ৫ আগস্ট থেকেই অবরুদ্ধ গোটা উপত্যকা এলাকা। সেদিন থেকেই জারি করা হয় কারফিউ, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেলিফোন-মোবাইল, ইন্টারনেট সেবা। মর্যাদা বাতিলের ঘোষণার আগের দিন গৃহবন্দি করা হয় সেখানকার সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে। পরের দিন এ দু’জনসহ আটক করা হয় মূলধারার বহু রাজনৈতিক নেতাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত