সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০১৫ ০২:০৫

কারা ওই ‘আরাকান আর্মি’?

আরাকান আর্মি মিয়ানমারের কোনো সরকারি বাহিনী নয়। এটি মিয়ানমারের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন। দ্য আরাকান আর্মি, যাদের সংক্ষিপ্ত কোড ‘এএ’। শুধু আরাকান আর্মিই নয়, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে আরো বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত।

বৌদ্ধ বিদ্রোহী এই সংগঠনটি চীনের উত্তর-পূর্ব ও মিয়ানমারের সর্ব উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। এদের মূল অবস্থান কাচিন রাজ্যের আরাকানে।

২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১২ সালে এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে আরাকানে তাদের ৪০০-৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের স্লোগান হলো আরাকানি মানুষের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ।

তাদের দাবি তারা জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে। এছাড়া জাতীয় মর্যাদা ও আরাকান ন্যাশনাল স্বার্থ উন্নয়নের জন্য তারা কাজ করে। এই বাহিনীর প্রধান তুয়ান মার্ট নায়াং।

অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে আছে ‘আরাকান লিগ ফর ডেমোক্রেসি। ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি ১৩ জানুয়ারি ২০১৪তে ভেঙ্গে গেলে আগে চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে যায়।

আর ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আরাকান লিবারেশন পার্টি। এটিও আরাকানের স্বাধীনতা এবং জাতীয়তা রক্ষার আন্দোলন করছে। ১৯৭৩ ও ১৯৮১ দলটি পুনগঠন করা হয়। এই দলের সদস্য সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। সম্প্রতি সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় সম্মত হয়েছে তারা।

এগুলো ছাড়াও আরাকানের আরো ছোট ছোট অনেক বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী সরকারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। সূত্র : চ্যানেলআই অনলাইন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত