আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:৪৭

ভারতে ছেলেধরা সন্দেহে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণপিটুনি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পুলিশ বলছে, চিকিৎসাধীন ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ দেশটির বেশ কিছু প্রদেশে এরকম গণপিটুনির ঘটনা হামেশাই ঘটছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ এই ঘটনা। গত বছর ছেলেধরা সন্দেহে একজনকে গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল ভারতে।

অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে গণপিটুনি দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু মানুষ তাকে ঘিরে রেখেছে। ছেলেধরা বলে দাবি করে সবাই মিলে ওই নারীকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন।

দিল্লির সঙ্গে লাগোয়া উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের মহাপরিচালক ওপি সিং বিবিসিকে বলেন, ‘গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত গণপিটুনির ৪৬টি ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় আমরা গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ছেলেপাচারের কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

পুলিশ প্রধান ওপি সিং আরও বলেন, ‘আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি তারা যেন এ ধরনের গুজব বিশ্বাস না করে। যদি আপনাদের এরকম সন্দেহ হয় তাহলে শুধু পুলিশকে জানান অথবা সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।’ চলতি মাসেই দিল্লির গাজিয়াবাদ জেলায় ছয়টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিরাজ জাদুয়ান বলেন, ‘এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, একদল মানুষ দাদির বিরুদ্ধে নাতিকে পাচারের অভিযোগ তুলে তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, নাতির গায়ের রঙ তার গায়ের রঙ থেকে আলাদা বলে এমন নির্মমতার শিকার হয়েছেন দাদি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত