০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০১
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো ধরনের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তবে রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ইরান বহুপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে রাজি হবে।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এমপি’দের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আলোচনার অনেক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমরা সবসময়ই নেতিবাচক জবাব দেব।”
ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে বিশ্বের শক্তিধর কয়েকটি দেশের সঙ্গে সই করা পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গতবছর সরে এসে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করাসহ আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে গত সপ্তাহে জি-৭ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক আয়োজন এবং চুক্তি হওয়া নিয়ে আশা প্রকশ করেন।
ট্রাম্পও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানান এবং বলেন, ইরানিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একারণে তিনি মনে করেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি আলোচনায় বসতে চাইবেন এবং এর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতিকে সঠিক পথে চালিত করবেন।
এরপরই রুহানিও বৈঠকে বসতে প্রস্তুত থাকার ইঙ্গিত দেন। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত বলে জানান।
কিন্তু মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বক্তব্যে রুহানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিলেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়টি নীতিগতভাবে আলোচ্যসূচিতে নেই বলে জানান তিনি।
রুহানি বলেন, “আমেরিকা (ইরানের ওপর থেকে) সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে... তারা পরমাণু চুক্তিতে আর ফিরছে কিনা সেটি কোনো ব্যাপার নয়; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আমেরিকা এখনো অতীতের পি৫+১ এর মতো একটি বৈঠক করার সুযোগ পাবে।”
২০১৫ সালে বিশ্বের ওই ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গেই পরমাণু চুক্তি করেছিল ইরান। রুহানি বলেন, “সব নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই কেবল এরকম বৈঠক হওয়া সম্ভব।”
আপনার মন্তব্য