০১ অক্টোবর, ২০১৯ ০২:৪৩
ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ড যারা তাদের রাজধানী স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-ঝা ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজধানী বাংকক থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। আর এটি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর সরকারের অধীনেই।
মূলত নগরায়ন, ঘনবসতি, পরিবেশ দূষণ, যানজটের মতো নগর জীবনের বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবিলার লক্ষ্যেই দেশটি রাজধানী স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অস্বাভাবিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের প্রভাবে শহরটি বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। সে কারণেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার মতো ব্যাংককেও মানুষের বসতি এখন অস্বাভাবিক। এ ছাড়াও দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ভয়াবহ যানযটের নাকাল শহরটি। তাই থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক বৈশ্বিক সম্মেলনে দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপটি বাস্তবায়নের জন্য দুটি উপায় বলে দেন। প্রথমটি হলো এমন কোনো শহর খোঁজা যা বেশি দূরে নয় এবং যেখানে রাজধানী স্থানান্তরের খরচ কম হবে।
দ্বিতীয়টি হলো, ব্যাংককের আশপাশের যে এলাকাগুলো আছে সেগুলোতে সরকারি ভবনসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানান্তর করা। ফলে মূল শহরে মানুষের সমাগম কম হলে যানজটও কমে আসবে।
আপনার মন্তব্য