আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ ১০:১৭

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ

দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র ছয় মাসের মাথায় সরে দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কেভিন ম্যাকঅ্যালিনান। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান— এমন কারণ দেখিয়ে তিনি এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক টুইটে ম্যাকঅ্যালিনানের সরে দাঁড়ানোর তথ্য জানিয়েছেন।

টুইটে তিনি জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহেই এই পদে ম্যাকঅ্যালিনানের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে। আর এই পদের জন্য ‘চমৎকার’ অনেক প্রার্থী রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে চার জন কাজ করলেন ট্রাম্পের অধীনে। এবার এই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য পঞ্চম ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে তাকে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন কমিশনার হিসেবে কাজ করতেন কেভিন ম্যাকঅ্যালিনান। ২০১৫ সালে তিনি ওবামার কাছ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সম্মানার পুরস্কারও নিয়েছিলেন। পরে তাকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে নিয়ে আসা হয়।

ওই সময় এই সরকারি সংস্থার প্রধান ছিলেন কার্সজেন নিয়েলসেন। তিনি অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে তৎপর ছিলেন না, এমন অভিযোগ ছিল খোদ ট্রাম্পেরই। পরে গত এপ্রিলে তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যাকঅ্যালিনানকে।

যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের ঠেকাতে ট্রাম্প যে বিতর্কিত অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল তার ওপরই। বলা হয়ে থাকে, ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত অভিবাসন নীতি পূর্ণ আনুগত্যের সঙ্গে বাস্তবায়নে মনোযোগী ছিলেন তিনি।

ম্যাকঅ্যালিনানের পদত্যাগের পর ট্রাম্প বলেন, তিনি চমৎকার কাজ করতেন। আমরা সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চমৎকার কাজ করেছি। তবে এখন তিনি পরিবারকেই সময় দিতে চান এবং বেসরকারি কোনো কাজ বেছে নিতে চান।

দায়িত্ব ছাড়ার পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ম্যাকঅ্যালিনান। ট্রাম্পের মতো তিনিও সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চমৎকার কাজ করার কথা বলেন। তার ভাষ্য, ট্রাম্পের সমর্থনে গত ছয় মাসে মানবিক সংকট ও সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত