ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০৪:২১

‘গান্ধী দ. আফ্রিকানদের বর্বর, নিকৃষ্ট অসভ্য ও কাফের বলে গালি দিতেন’

‘দ্য সাউথ আফ্রিকান গান্ধী : স্ট্রেচার-বিয়ারার অব এম্পেরর’ নামের এক বইয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতের অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ছিলেন চরম বর্ণবাদী ও তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নির্লজ্জ তাঁবেদার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকানদের বর্বর, নিকৃষ্ট অসভ্য ও কাফের বলে গালি দিতেন।

বর্ণবাদকে উসকে দিয়ে ব্রিটিশদের মন জুগিয়েছিলেন তিনি। বর্বর অসভ্য বলে কৃষ্ণাঙ্গদের গালি দিয়েও ভর্ৎসনা করে ছাড়তেন।

তার জীবনবৃত্তান্ত এবং ‘সত্যাগ্রহ ইন সাউথ আফ্রিকা’ গ্রন্থের ওপর গবেষণা করে তার এমন মনোভাব ও ক্রিয়াকলাপের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই দ. আফ্রিকার অধ্যাপক।

গান্ধী সম্পর্কে তাদের দেওয়া অপ্রত্যাশিত এ তথ্য নিয়েই গণমাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

এ খবর প্রকাশ করেছে ফার্স্টপোস্ট। সম্প্রতি ওই গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে তারা রচনা করেছেন ‘দ্য সাউথ আফ্রিকান গান্ধী : স্ট্রেচার-বিয়ারার অব এম্পেরর’ নামে বই। দ. আফ্রিকায় তিনি আইনবিদ হিসেবে নিয়োজিত থাকাকালে (১৮৯৩-১৯১৪) নিগ্রোদের বিরুদ্ধে বার্ণবাদী বিদ্বেষ উসকে দিয়েছিলেন বলে বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জোহানেসবার্গের অধ্যাপক অশিন দেশাই ও কাওয়াজুলু নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম ভাহিত বলেন, দ. আফ্রিকার অধিবাসীদের বর্বর, নিকৃষ্ট অসভ্য এবং কাফের বলে গালি দিতেন।
ডার্বান পোস্ট অফিসে ডুকতে সেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ তৈরিতে গর্হিত ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

তারা আরও বলেন কট্টর বর্ণবাদ হিসেবে দ. আফ্রিকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে অমানবিক ও ন্যক্কারজনক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তৎকালীন আফ্রিকার এ আইনবিদ। এছাড়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তাঁবেদারিতেও ছিলেন ওস্তাদ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত ব্রিটিশ যোদ্ধাদের স্ট্র্যাচারে বহন করে টেনে টেনে সেবাশুশ্রূষা করেছিলেন তিনি। গান্ধী সম্পর্কে এসব বক্তব্য সত্য বলে মত দিয়েছেন নন্দিত লেখিকা অরুন্ধতী রায়।

তিনি বলেন, গবেষণায় গান্ধীর যে চরিত্র ফুটে উঠেছে তা তার সম্পর্কে আমাদের স্বাভাবিক চিন্তাচেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। অন্যদিকে অরুন্ধতী বলেন, তিনি একজন সাম্প্রদায়িক ও লিঙ্গভিত্তিক অনাচারের সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নন্দিত ছিলেন।

গান্ধীর এসব নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে এক প্রকার তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ খবর প্রকাশ করেছে ফার্স্টপোস্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত