সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৪৯

ট্রাম্পকে কেউ ভালোবাসে না!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নেতাদের কেউ ভালোবাসে না, তাই অভিমানে নিউ ইয়র্ক শহর ছাড়ছেন তিনি। নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের বাসিন্দা ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরেই এখানেই বাস করছেন তিনি। কিন্তু তিনি তার স্থায়ী আবাস বদলে চলে যাচ্ছেন ফ্লোরিডার পাম বিচে।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই পাম বিচ কাউন্টি ক্লার্কের সঙ্গে কাগজপত্রের সব কাজ শেষ করেছেন ট্রাম্প। তারপর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আমি এখন থেকে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী।

একই ধরনের নথি জমা দিয়েছেন ট্রাম্পের স্ত্রী ও দেশটির ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। প্রক্রিয়াটিকে বলা হয়, ‘ডিক্লারেশন অব ডমিসাইল’। যা আন্তর্জাতিক আইনে স্থায়ী বাসস্থান অনুমোদন ব্যবস্থা।

স্থায়ী আবাস পরিবর্তনের সময় এমন নথি জমা দিতে হয়। পাম বিচে অবস্থিত ট্রাম্পের ‘মার-অ্যা-ল্যাগো’ রিসোর্টই এখন প্রেসিডেন্টের নতুন বাসভবন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় একশ’ দিন সেখানে কাটিয়েছেন ট্রাম্প। একে তিনি ডাকেন ‘উইন্টার হোয়াইট হাউস’ নামে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্থায়ী আবাস বদলের বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রথম প্রকাশিত হয়। এ সময় ট্রাম্প জানান, সিদ্ধান্তটি নিতে কষ্ট হলেও এটি সবদিক থেকেই ভালো।

বৃহস্পতিবার টুইটে ট্রাম্প বলেন, নিউ ইয়র্ক ও তার অধিবাসীদের প্রতি অন্যরকম টান আছে আমার। এটি সবসময় থাকবে। এই রাজ্যে প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ডলার কর দিই আমি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ অঙ্গরাজ্যের ও শহরের রাজনৈতিক নেতারা সবসময় আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এসেছেন। কেউ কেউ খুবই খারাপ আচরণ করেছেন। এদিকে ঠিকানা বদলের খবরে নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট নেতারা বেশ খুশি হয়েছেন।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্র– মার্ক ক্যুমো মাইক্রোব্লগিংয়ে বলেন, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এমন তো না যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে কোনো কর দিতেন। ফ্লোরিডা, ট্রাম্প এখন শুধুই তোমার।

নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিল স্পিকার কোরে জনসন টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদায় দিয়ে বলেন, ‘অবশেষে স্বস্তি পেলাম।’ নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে বরাবরই কম জনপ্রিয় ট্রাম্প। কেননা, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত