অরণ্য রণি, ইন্দোনেশিয়া থেকে

১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:২২

ইন্দোনেশিয়ায় সৈকত পরিস্কারে ২৭ বাংলাদেশি

ইন্দোনেশিয়ায় ছায়া জাতিসংঘের সম্মেলনে তৃতীয় দিনে মার্থাসারি সৈকত পরিষ্কারে অংশ নেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাজারো প্রতিনিধি। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ২৭ জন প্রতিনিধি।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে পরিবেশ রক্ষার এ কর্মসূচি বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে।

জাতিসংঘ ও ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বনায়ন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

উদ্যোক্তারা জানান, পরিবেশকে রক্ষা করতে, মানুষকে সচেতন করতে হবে। অন্যথায় পরিবেশ ও বনায়ন হুমকির মুখে পড়বে।

জাতিসংঘের ২০৩০ সালের স্থায়ী উন্নতকরণ কর্মসূচি বা সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের ১৪ নম্বর হল সমুদ্র এবং সমুদ্রের আশেপাশে পরিবেশ, প্রজাতি ইত্যাদি রক্ষা করা। এই লক্ষ্যের উদ্দেশে এ কর্মসূচির আয়োজন।

আয়োজকরা জানান, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে কাগজ ব্যবহার করতে হবে। কেবলমাত্র উপকূল পরিষ্কারই সমাধান নয়, লক্ষ্য অর্জন নয়। আমাদের নিজেদের, পরিবারের, বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন সকলকেই সচেতন করতে হবে। দেশ বা এই পৃথিবীকে তরুণরাই পারে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে।

ফিলিপাইন থেকে আসা মেলিনা জানান, এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তার অনেক ভালো লাগছে। এটি খুবই জরুরী ছিল। মানুষকে সচেতন করতে হবে বোঝাতে হবে সমুদ্রসম্পদ ও তার আশেপাশের পরিবেশের গুরুত্ব নিয়ে।

বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে বিচ ক্লিনআপে অংশ নেন নাইম উদ্দিন, মেহজাবিন মুমু, সাব্বির হাসান, স্বর্ণা দে, মিমতাহীনা জামান, অরণ্য রণিসহ সর্বমোট ২৭ জন।

সাব্বির হাসান জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের মানুষকে বোঝাতে হবে সমুদ্রের গুরুত্ব সম্পর্কে। আজ যদি আমরা সমুদ্রের পরিবেশের যত্ন না নেই এর ফল ভোগ করবে হয়তো বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। নিজেদের ভালো ও তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাতিসংঘের এই কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা এখানে শতাধিক দেশের তরুণ প্রতিনিধিরা আছি। আমরা যদি নিজ নিজ দেশে গিয়ে এ নিয়ে কাজ করি, আশেপাশের লোকজনদের বুঝাই বা তরুণদের উদ্বুদ্ধ করি পরিবর্তন আসতে বাধ্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত