ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ০৩:৫৬

শনিবার যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করবে পরিবার

কারাগারে বন্দি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেখা করবে তার পরিবারের সদস্যরা। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দি কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন তারা।

শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কামারুজ্জামানের পারিবারিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানান কামরুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মো. মুনির। ওইদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে এ আলম বলেন, রিভিউয়ের আর মাত্র সাতদিন সময় আছে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়া বা আসামিকে বিষয়টি অবহিত করানোর মধ্যে যেটি আগে হয়, সেদিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ দায়ের করতে হবে। তবে এরমধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে কোনো বাধা রিভিউয়ের রায়ে নেই।

তবে কামারুজ্জামানের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর থেকে ১৫ দিন গণনা শুরু হবে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কারাগারে আসামি কামারুজ্জামানকে পূর্ণাঙ্গ রায় ও মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। এদিন থেকে গণনা করা হলে আগামী ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ১৫ দিন পূর্ণ হবে।

লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা শোনানোর পর কামারুজ্জামান জানিয়েছিলেন,আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে রিভিউ আবেদনের বিষয়ে জানাবেন তিনি। কামারুজ্জামানের ইচ্ছা অনুসারে ২১ ফেব্রুয়ারি কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে যান পাঁচ আইনজীবী।এ সময় আইনজীবীদের রিভিউ আবেদন করতে বলেন তিনি।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

৩ নভেম্বর, ২০১৪ রাজাকার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা কমান্ডার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

মুক্তিযুদ্ধকালে জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্র সংঘের বাছাই করা নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেন তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি কামারুজ্জামান।

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত