সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১২:২১

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের যতো অপরাধ

জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ১০ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে দুটি অভিযোগে। 

যে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড: 

১১ নম্বর অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে আলবদর সদস্যরা। মীর কাসেমের নির্দেশে তাকে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের নির্যাতনকেন্দ্রে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সেখানে নির্যাতনের শিকার আরও পাঁচজনের মরদেহের সঙ্গে জসিমের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

১২ নম্বর অভিযোগ, মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা চট্টগ্রামের হাজারী গলির ১৩৯ নম্বর বাড়ি থেকে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া অভিযোগগুলো হলো: 
দুই নম্বর অভিযোগ, মীর কাশেমের নেতৃত্বে ‘৭১ এর ১৯ নভেম্বর চাকতাই থেকে লুত্ফর রহমান ফারুক ও সিরাজকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া।

তিন নম্বর অভিযোগ, একাত্তরের ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর আসামির নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন।

চার নম্বর অভিযোগ, ডবলমুরিং থানায় সাইফুদ্দিন খানকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে আল বদর বাহিনীর নির্যাতন।

ছয় নম্বর অভিযোগ, চট্টগ্রাম শহরের এক চায়ের দোকান থেকে হারুন অর রশিদ খান নামে একজনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন।

আট নম্বর অভিযোগ, একাত্তরের ২৯ নভেম্বর রাতে নুরুল কুদ্দুস, মো. নাসিরসহ চারজনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নির্যাতন।

নয় নম্বর অভিযোগ, ২৯ নভেম্বর নুরুজ্জামান ও তার চাচাতো ভাইসহ সাত জনকে অপহরণ ও নির্যাতন।

১০ নম্বর অভিযোগ, আসামি মীর কাশেমের নির্দেশে জাকারিয়াসহ চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।

১৪ নম্বর অভিযোগ, এজেএম নাসির উদ্দিন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও নির্যাতন।

মোট ১৪ টি অভিযোগের মধ্যে প্রমাণ না হওয়ায় ৪টি অভিযোগে খালাস দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে। 

উল্লেখ্য,২০১৪ সালের ২ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের ২ অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং নির্যাতনের ৮ অভিযোগে ৭২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত