সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:৩০

মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে কাশিমপুরে

মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হতে পারে গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন ও সেই আবেদন গ্রহণ বা নাকচের সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে কারাগার সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের এক সূত্র।

সূত্র জানায়, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন জল্লাদকে এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক লে. কর্নেল ইকবাল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কাশিমপুর, না কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার- এই দুটির মধ্যে কোথায় কার্যকর করা হবে, এখনো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফাঁসি কার্যকর করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এটি মীর কাসেম আলীর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের ওপর নির্ভর করছে।

মীর কাসেম আলী বন্দী রয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি কাশিমপুর কারাগারে আসে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার রায় মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনানো হয়েছে। এরপর দুপুরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারে গেছেন।

এর আগে গতকাল সকালে এই রায় ঘোষণার পর বিকেলে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। বিকেলেই রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যায়। সেখান থেকে রায়ের অনুলিপি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ের সকল ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার জন্য ভাবার সময় চেয়েছেন মীর কাসেম। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত