একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পলাতক দুই 'রাজাকারের' বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর আদেশ দেওয়া হবে।

বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। পলাতক দুই আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।

এর আগে গত ১৮ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

পলাতক এই দুই আসামি হলেন— হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, একাত্তরে লিয়াকত ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে পরে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের লাখাই থানা কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে মামলার তদন্ত শুরু হলে লিয়াকত পালিয়ে যান।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের অষ্ট্রগ্রাম থানার আলীনগর গ্রামের রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে এলাকায় ফিরে আল বদর বাহিনী গঠন করেন।