নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ এপ্রিল, ২০১৫ ১৮:৫১

শহিদ ডা. শামসুদ্দিন ও শ্যামল কান্তি লালার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি

শহিদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ ও শ্যামল কান্তি লালাসহ ৯ এপ্রিল সিলেটে পাক হানাদারদের গুলিতে শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে বৃহস্পতিবার সিলেট কেন

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একাত্তরের ৯ এপ্রিল বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহিদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ ও ডা. শ্যামল কান্তি লালাসহ সিলেটে সরকারি স্থাপনায় পাক হানাদার বাহিনীর প্রথম হামলায় শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ‘নাগরিক মৈত্রী’ সিলেটের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

নাগরিক মৈত্রী সিলেটের আহবায়ক এডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান ও এ্যাম্বুলেন্স চালক কোরবান আলীসহ ৯ জন।

নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে তারা হানাদারদের হামলায় আহতদের সেবা দেন। এই বীর শহীদদের স্মরণে চৌহাট্টায় একটি স্মৃতির মিনার গড়ে তোলা হয়েছে। যে হাসপাতালে তারা শহিদ হন সেই হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে শহিদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের নামে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হলেও তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি।

শহিদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানিয়ে ‘নাগরিক্ত মৈত্রী’ প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এ ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা অবিলম্বে ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালাসহ অন্য শহিদদের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে ‘নাগরিক মৈত্রী’ সিলেটের পক্ষ থেকে ৯ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে চৌহাট্টায় শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ সহ সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- গণতন্ত্রী পার্টি কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন, জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নাজাত কবির, বিএমএ সিলেটের সহ সভাপতি ডা. ইউসুফ ভূইয়া, ডা. আজিজুর রহমান রুমান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতা মুক্তিযোদ্ধা মো. মানিক মিয়া, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্ম্মল সিনহা, মণিপুরী যুবকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সিনহা, এডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, এডভোকেট বাবুল মিয়া প্রমুখ। শহিদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিএম ফারুক, জিএম ফেরদৌস, নার্গিস বাহার, এস খানম, ফরিদা নাসরীন ও এহতেশাম বুলবুল।

 

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত