সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ নভেম্বর, ২০১৬ ২১:১০

একাত্তরে ১৩ বছরের কম বয়সীরা মুক্তিযোদ্ধা নয়

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাতে বয়সের এই বিষয়টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংজ্ঞায় আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপনে তারিখ দেওয়া হয়েছে ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংজ্ঞায় বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। বিভিন্ন শ্রেণিতেও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাঁরা। যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেসব বাংলাদেশি বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত এমএনএ ও এমপিএগণ (গণপরিষদ সদস্য)। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারীরা (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা এবং দেশ ও দেশের বাইরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী চিকিৎসা দলের (মেডিকেল টিম) চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত