নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২৩:৩১

৪৫ বছর পর বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ

দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর পর সিলেট নগরীর অদূরের দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়া বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বধ্যভূমিতে অস্থায়ী ফলকের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। এরফলে এতোদিন ধরে অরক্ষিতভাবে পড়ে থাকা লালমাটিয়া ৪৫ বছর পর বধ্যভূমির স্বৃকিত পেলো।

নগরী সংলগ্ন দক্ষিণ সুরমার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচকে অবস্থিত লালমাটিয়া এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি।

১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা গণহত্যা চালিয়ে লালমাটিয়ায় মাটি খুড়ে পুঁতে রাখতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, একাধারে ২০টি গর্তে অসংখ্য নারী-পুরুষকে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া হয়।

ফলক উন্মোচনের পর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, সিলেটের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি লালমাটিয়া তালিকায় থাকলেও এতোদিন অরক্ষিত ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, পরাইরচক সিলেটের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদ মোস্তফা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুটি মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ মিয়া, গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর ষাটঘরের বাসিন্দা মো. আবু তাহের, শৈলেন কর, মনোরঞ্জন পাল, জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পালসহ প্রায় ২৫-৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত