নিউজ ডেস্ক

২২ এপ্রিল, ২০১৫ ১৮:৩৭

বিমানবন্দরে যুদ্ধাপরাধী পরিবার কীভাবে ভিআইপি মর্যাদা পায়: হাইকোর্ট

শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশকালে মানবতাবিরোধী অপরাধী যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আজমের স্ত্রী আফিফা আযম ও তার ভাতিজা লুৎফুল কবিরকে কোন বিবেচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিআইপি) মর্যাদা দেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব সিভিল এভিয়েশন অথরটির চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এর প্রতিবেদন আগামী ১২ মে’র মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সিভিয়েল এভিয়শনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠে গোলাম আজমের স্ত্রীকে নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টান মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।

জনকণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজা গত ৮ এপ্রিল সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিআইপি পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে মুচলেকা রেখে বিমানবন্দর থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিকটাত্মীয়দের ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ থাকার পরও শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান পরিচয় গোপন রেখে তাদের জন্য ভিআইপি মর্যাদার ব্যবস্থা করেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর গোলাম আযমকে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গতবছর ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী এ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত