নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জুলাই, ২০১৭ ১৫:৫৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক আর নেই

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গেরিলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক আর নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রার্থী জনতার কাছে তিনি ‘মামা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় কাতারের রাজধানী দোহার আল ওয়াকার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হকের মৃত্যুর তথ্য তাঁর পরিবারের সূত্র উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।

ইমরান এইচ সরকার আরও জানান, দোহা থেকে মামার মরদেহ সুইডেনে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হবে।

শহীদুল হক দীর্ঘদিন যাবত শ্বাসকষ্ট, উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস ও কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল কাতার এয়ার ওয়েজে ঢাকা থেকে স্টকহোম যাওয়ার পথে বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত কাতারের আল ওয়াকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুদিন পর তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। দীর্ঘ আড়াই মাস পর এখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতি দেখা দিলে দুই সপ্তাহ আগে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক একাত্তরের রণাঙ্গনে অসম সাহসিকতার সাক্ষর রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার অন্যতম সাক্ষীও ছিলেন। একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে তিনি সাক্ষ্যও দেন।

ঢাকার মিরপুর-মোহাম্মদপুর এলাকায় বিহারিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো শহীদুল হক মামা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পঁচাত্তরের পর আশির দশকে পরিবার নিয়ে পাড়ি জমান সুইডেনে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক মামার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত গঠনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত