সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০১৭ ১০:৫০

যুদ্ধাপরাধী আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যায় সহযোগির ভূমিকায় থাকা দুই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) এদুই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

রোববার (১৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ এদিন দেন। শুনানির কার্যতালিকার ২ ও ৩ নম্বর ক্রমিকে মামলা দুটি রাখা হয়েছিল। ২ নম্বরে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং ৩ নম্বরে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের মামলাটি ছিল।

এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৫তম রায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ষষ্ঠ রায়।

রায়ে বলা হয়, আসামি আজহারের বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ৫ নম্বর অভিযোগে তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ৬ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (খালাস) দেওয়া হয়। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৪তম রায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি পঞ্চম রায়। কায়সারকে ২০১৩ সালের ২১ মে গ্রেপ্তার করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচার চলাকালে পুরো সময় তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন।

এ দুই আসামিই ট্রাইব্যুনালের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। একটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত