নিউজ ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৫ ১১:২২

‘রাজাকার’ হাসান আলীর ফাঁসি চায় পালপাড়া

পলাতক ‘রাজাকার’ সৈয়দ মো. হাসান আলীর ফাঁসি চান কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পালপাড়ার স্বজনহারা মানুষরা।

কিশোরগঞ্জে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর বিরুদ্ধে।

এসব অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় মঙ্গলবার রায় দেবে যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

হাসান আলীর মামলার রায়ের অপেক্ষায় উপজেলার শিমুলহাটি গ্রামের পালপাড়ার মানুষরা, যারা একাত্তরে হারিয়েছেন স্বজন।

একাত্তরের ৯ সেপ্টেম্বর ওই শিমুলহাটি গ্রামের পালপাড়ায় অক্রুর পালসহ ১২ জনকে হত্যা এবং ১০টি ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে হাসান আলীর সঙ্গীরা। ওই গ্রামের পুরুষদের ধরে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয়।

বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানকার মানুষ এখনও ভোলেনি বেদনাদায়ক সেই ঘটনা। অনেক দেরিতে হলেও বিচার সম্পন্ন হওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাল পাড়ার বাসিন্দারা।

একাত্তরে স্বামীসহ তিন দেবর হারানো মামলার বাদী সনজুবালা বলেন, “আমি আর কিছু চাই না। আমার চোখের সামনে আমি হাসান আলীর লাশ দেখতে চাই। সে নিজের হাতে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। আমাকে সর্বহারা করে দিয়েছে।”

হাসান আলীকে খুঁজে বের করতে এত সময় লাগার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রেনু রাণী পাল বলেন, “আমি তখন শিশু ছিলাম। আমরা নৌকা দিয়ে গ্রাম থেকে পালানোর সময় হাসাল আলী আমাদেরকে ধরে আনে। তারপর বাড়ির উঠোনে গুলি করে আমার বাবা ও দাদাকে হত্যা করে।”

বেনু পাল বলেন, “দিনটি ছিল ভাদ্র মাসের এক বৃহস্পতিবার। রাজাকার হাসান দারোগা আমার চোখের সামনে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আমার বাবার বুকে গুলি করে হত্যা করে।”

সুনীল পাল বলেন, “হাসান রাজাকারের নেতৃত্বে দুটি নৌকায় করে আমাদের গ্রামে এসে রাজাকাররা আমার বাবাসহ ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করে।”

সাবিত্রী পাল বলেন, “ভাদ্র মাসে হাসান আলীর নেতৃত্বে হামলার সময় আমরা দৌড়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাই। পরে ফিরে এসে আমার ভাসুরসহ অন্যদের লাশ পড়ে থাকতে দেখি।”

ওই গ্রামের খগেশ চন্দ্র পাল ও সমেন্দ্র চন্দ্র পাল বলেন, এতদিন বিচার পাইনি। এখন বিচার হওয়াতে তারা খুশি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত