নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মার্চ, ২০১৮ ১২:৩৫

কাঁকন বিবির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুপ্তচর, পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে একাধিকবার বন্দি ও নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবির মরদেহ মেয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সাকাল ৯টা ৩২ মিনিটে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুল হক চৌধুরী কাঁকন বিবির লাশ তার মেয়ে সখিনা বিবির কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় তার পরিবারের সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সাড়ে ১০টার দিকে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কাঁকন বিবির মেয়ের জামাই রফিক মিয়া।

বিকেল ৪টায় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে জানান কাঁকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি।

এর আগে হাসপাতালের অভ্যন্তরে কাঁকন বিবিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, গত ১৯ মার্চ (সোমবার) তিনি  নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। কাঁকন বিবি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট সহ হৃদরোগে রোগে ভুগছিলেন।

সোমবার রাতে তাঁর অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাঁকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সবশেষ বুধবার (২১মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সেখানে তিনি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডা. নাজমুল ইসলামের অধীনে ভর্তি হলেও আইসিইউতে ডা. সব্যসাচী রায়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৭১ সালে ৩ মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাঁকন বিবি। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন বীর এই যোদ্ধা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত