নিউজ ডেস্ক

০৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২০

ধুমপায়ীরা সাবধান !

তখন ক্লাস টেন কি ইলেভেন। হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া জীবনে এসেছিল সিগারেট। তারপর থেকেই সে আপনার নিত্যসঙ্গী। আনন্দ, দুঃখ, উদযাপন, অবসর, সাফল্য, ব্যর্থতা কখনই সে আপনাকে ছেড়ে যায়নি। প্রেমে ধূমপানের মাহাত্ম্য নিয়ে বহু রোম্যান্টিক গানও লেখা হয়েছে। তবে এই সিগারেটই যে আপনাকে রোজ তিলে তিলে খুন করছে তা আর নতুন করে বলে দিতে হবে কি? এই বিষয়ে বহু জ্ঞান-গম্ভীর কথা শুনেছেন। তবে এই কারণগুলো মাথায় রাখলে বোধহয় ধূমপান ছাড়া একটু সহজ হবে।

১। ধূমপান করলে মুখে দুর্গন্ধ হয়:

নিয়মিত ধূমপান করলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ অবধারিত। যা দূর করতে চিউইং গাম চিবনো ছাড়া উপায় নেই। অথচ সবসময় চিউইং গাম চিবোতে ইচ্ছাও করে না, খেয়ালও থাকে না। সিগারেট খেয়ে বাড়িতে ধরা পড়ার ভয় টিনএজে চিউইং গাম খেয়েছেন অনেক। তবে মুখে গন্ধের কারণে আপনার পার্টনার যদি ঘনিষ্ঠ হতে না চান, দূরে সরে থাকেন তবে কি ভাল হবে?

২। খরচ:

পয়সা জমানোর কথা ভাবুন। তাহলে সিগারেট ছাড়ার উত্সাহ পাবেন। ভেবে দেখেছেন কি দিনে কত টাকা সিগারেটের পিছনে অযথা খরচ করেন? যদি আপনি ১০টা সিগারেট খান তাহলেও দিনে ১০০ টাকা খরচ হয়। যা মাসে দাঁড়ায় ৩০০০ টাকা! ভাবুন ধূমপান ছাড়লে কত টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন।

৩। বয়স:

সমীক্ষা বলছে যারা ধূমপান করেন তাদের চেহারায় তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ পড়ে। কারণ ধূমপান ফুসফুসে প্রভাব ফেলার আগে আপনার ত্বকে প্রভাব ফেলে। যদি ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের মতো দেখতে লাগতে চান তাহলে রোজ ধূমপান করতেই পারেন। সিগারেট খেলে চেহারায় বুড়োটে ভাব আসতে বাধ্য।

৪। ইনফার্টিলিটি-

ধূমপানের ফলে স্পার্ম কাউন্ট কমে, হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়, স্পার্ম মোবিলিটি, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। মহিলাদের মধ্যেও ধূমপানের কারণে বন্ধাত্ব্য দেখা দেয়। প্রভাব পড়ে সেক্স লাইফে। যদি সেক্স লাইফ নষ্ট করতে না চান তবে অবশ্যই ধূমপান করা ছাড়ুন।

৫। দাঁত:

নিয়মিত ধূমপান করেন? আপনি স্বীকার না করলেও দাঁত আপনাকে সত্যিটা গোপন করতে দেবেই না। নিয়মিত ধূমপান শুরু করলেই জানান দেবে দাঁতের হলুদ ছোপ। ছোটবেলা যেমন ছোপধরা দাঁত দেখলেই আপনার গা ঘিনঘিন করত, নিজের দাঁতের পাটি তেমন হলে কি ভাল লাগবে দেখতে?

৬। প্রিয়জনের ক্ষতি:

আপনি হয়তো ধূমপান খুবই উপভোগ করেন। কিন্তু তাতে যে আপনার সঙ্গের মানুষটার সমস্যা হচ্ছে, তাঁরও বিপদ ডেকে আনছেন সেটা মাথায় রেখেছেন তো? অ্যাকটিভ স্মোকিং-এর মতোই ক্ষতিকর প্যাসিভ স্মোকিং। আপনার ধূমপান যেন অন্য কারও বিরক্তির কারণ না হয়।

৭। স্ট্যামিনা:

নিয়মিত ধূমপান আপনার স্ট্যামিনা অনেক কমিয়ে দেয়। একটু কাজের চাপ বাড়লেই হাঁপিয়ে ওঠেন। প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস শরীর ক্রমশ দুর্বল করে দেয়। রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।

৮। নির্ভরশীলতা:

প্রথম যখন সিগারেট খেয়েছিলেন তখন ভেবেছিলেন মাঝে মাঝে ধূমপান করলে ক্ষতি কী? ধীরে ধীরে কখন যে সিগারেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন বুঝতেই পারেননি। এখন চাইলেও ছাড়তে পারছেন না। সিগারেট যে আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে!

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত