সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জুন, ২০১৬ ১৮:১৪

পায়ের রগে বা পেশিতে হঠাৎ টান পড়ল কি করবেন!

হয়তো ঘুমিয়ে আছেন বা নদীতে গোসল করতে নেমেছেন হঠাৎ পায়ের মাংসপেশির টানের ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন। এমতাবস্থায় পা সোজা বা ভাঁজ করা সম্ভব না। পা ভাঁজ করে রেখে হঠাৎ সোজা করতে গেলে পায়ের পেশিতে টান পড়ে তখনই পায়ের পেশিতে বা রগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এমনটা ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় বেশি হয়ে থাকে।

দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় পায়ের পেশিতে বেশি টান লাগতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলেও এমনটা হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। যেমন, পানিশূন্যতা, মাংসপেশি বা স্নায়ুতে আঘাত, রক্তে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাব, কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন- হাইপারটেনশন ও কোলেস্টেরল, কয়েকটি বিশেষ ভিটামিনের অভাবে যেমন- ভিটামিন ‘বি’ B1, B5, B6। কিছু বদভ্যাসের কারনে যেমন- ধূমপান, মদপান।

ধূমপায়ীদের পায়ে রক্ত চলাচল কম হয় বলে সামান্য হাঁটাহাঁটিতেই তাদের পায়ে টান লাগে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে থাকে, তাই ওই সময় পায়ের পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ফেইলিওর, মেন্সট্রুয়েশন, গর্ভসঞ্চার ইত্যাদির কারণেও পেশিতে টান লাগতে পারে।

তখন কি করবেন?
যে পায়ের পেশিতে টান পড়বে, দ্রুত সেই পায়ের পেশিকে শিথিলায়ন বা রিলাক্স করতে হবে। এতে পেশি প্রসারিত হবে এবং আরাম পাবেন। পেশিকে প্রসারিত করার নিয়ম হলো আপনার যদি হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনের মাসলে টান লাগে তাহলে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো ধরে আপনার দিকে আস্তে আস্তে টানুন। আর যদি সামনের দিকে হয় তাহলে পা ভাঁজ করে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো পেছনের দিকে টানুন।

অনেক সময় উরুর পেছনেও এমনটা হয়, তখন চিৎ হয়ে শুয়ে পা ভাঁজ করে হাঁটু বুকের দিকে নিয়ে আসুন যতোটুকু পারা যায়। আর উরুর পেছনের পেশিতে আলতো হাতে আস্তে আস্তে মালিশ করুন আরাম পাবেন। আর যদি পেশি শক্ত হয়ে আসে তখন ওয়াটার ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেক দিন আক্রান্ত পেশিতে। আবার যদি পেশি বেশি নরম ও ফুলে যায় আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইসব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ডা সেক দিন। বেশ আরাম পাবেন। প্রত্যেকের বাসায় মুভ বা ভিক্স জাতীয় ব্যথানাশক বাম বা জেল থাকে, তা দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করা যেতে পারে ওই পেশিতে।

আপনার পায়ের ‘পেশীর টানমুক্ত’ অবস্থায় ভালো থাকতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খান। শাকসবজি, ফল, খেজুর, দুধ ও মাংসতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। আপনার নেশাজাতীয় বদঅভ্যাস থাকলে তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত