সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জুলাই, ২০১৬ ১৮:৫১

অফিসে যেসব খাবার খাবেন

অফিসে কি ধরনের খাবার আনা যায় সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকেন। অফিসে নেওয়ার জন্য সহজে বানানো যায়, খাওয়া যায় এবং খুব বেশি ঘ্রাণ না ছড়ায় এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত। যদি সঠিক পদ্ধতিতে খাবার নেওয়া হয় তাহলে নানা বিপত্তি এড়ানো যায়।

খাবার নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে খাবারটা শুকনা, ভাজি জাতীয় না ঝোল জাতীয়। শুকনো,ভাজি খাবার হলে তা যে কোনও বক্সে করে নেওয়া যাবে। আর ঝোল জাতীয় তরকারি হলে নিতে হবে এয়ারটাইট বক্সে। বাজারে নানা রকম এয়ারটাইট বক্স পাওয়া যাবে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায়। শীতের সময় হটপটে খাবার নিলে তা ভালো।

যদি নরমাল বক্সে ভাতের সঙ্গে ভাজি নিলে তার সঙ্গে যদি ডাল নিতে চান তবে ছোট বোতলে নিতে পারেন। খাবার নেওয়ার সময় বক্সটি পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিতে পারেন তাহলে ঝোল পড়ে ব্যাগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। খাবার সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেওয়া একটা শিল্প। অফিসে যখন সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার খাবেন তখন আপনার পরিচ্ছন্ন গোছানো খাবার যেমন অন্যকে আকৃষ্ট করবে ঠিক তেমনি আপনার রুচিশীলতার প্রকাশ ঘটবে। আপনি খাবার বক্সে যে খাবারই নিন না কেন তা যেন সুন্দর করে গোছানো থাকে এটা খেয়াল রাখতে হবে। বক্স ছোট হলে ভাতের একপাশে ভাজি নিতে পারেন অন্য পাশে মাছ ভাজি বা তরকারি নেওয়া যায়। গরম ভাতের সঙ্গে কখনও সালাদ নেওয়া উচিত নয়। এতে ভাতের গরমে সালাদ সেদ্ধ হয়ে যাবে।

অফিসে পোলাও কিংবা পোলাওয়ের চালের খিচুড়ি নিয়ে আসা ঠিক না। কারণ পোলাওয়ের চাল ও ঘিয়ের ঘ্রাণে অফিসের সহকর্মীদের সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি মশলাযুক্ত খাবার আনা উচিত নয় কারণ বেশি মশলাযুক্ত খাবার নিয়ে আসলেও অফিসে ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়। তাছাড়া বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। অফিসে শুঁটকি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই খাবারটির ঘ্রাণ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তাই শুঁটকি যুক্ত খাবার আনলে সহকর্মীদের অসুবিধা হতে পারে। অফিসে খাওয়ার সময় খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাওয়া উচিত না। খাওয়ার সময় টেবিল কিংবা মেঝেতে খাবার পড়লে সেটা নিজেই পরিষ্কার করে ফেলুন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত