সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:০১

যেভাবে ঈর্ষা থেকে মুক্তি পাবেন

পরশ্রীকাতরতা ও ঈর্ষার কাঁটা মানুষকে সুখী হতে দেয় না। গবেষকেরা বলছেন, ঈর্ষা হওয়ার মতো ঘটনা এখন বেড়ে গেছে।

এতে মানুষের বিষণ্নতাও বেড়েছে। এখন কর্মক্ষেত্র, পরিবার, বন্ধুত্ব, এমনকি অন্যান্য সম্পর্কের ওপর গিয়েও পড়ছে ঈর্ষার প্রভাব।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলস সেন্টার ফর ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের করা ‘কোপিং উইথ এনভি অ্যান্ড জেলাসি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, জীবনে ঈর্ষাকাতর হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্বনির্ভরতা ও আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে তা দূর করা যেতে পারে।

গবেষকদের মতে, ঈর্ষার মাত্রা একেক মানুষের ক্ষেত্রে একেকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ঈর্ষার ভাব বাড়তে থাকলে প্রত্যেকের তা সামলানোর পদ্ধতি জানা উচিত। তা না হলে মানসিক শান্তির বারোটা বাজবে।

আমরা অত্যন্ত প্রদর্শনীমূলক একটি সমাজে বাস করছি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমাদের জীবনে কী ঘটছে, পুরো বিশ্বকে তা জানিয়ে দিচ্ছি। যখন আমরা দেখি, কাছের কোনো বন্ধু রোমাঞ্চকর কোথাও ভ্রমণ করছে বা পরিবারের সঙ্গে অনুষ্ঠান করছে, তখনই ঈর্ষা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা বাদ দিতে হবে। ‘ইমোশনাল ফ্রিডম’ নামের একটি বইয়ের লেখক জুডিথ ওরলফ মনে করেন, অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা ঠিক হবে না। অন্যের চেয়ে নিজেকে কম ভাব ঠিক নয়।

লেখক ইয়োকো অনো বলেন, ঈর্ষাকে প্রশংসায় রূপান্তর করুন। প্রশংসা করতে পারলে তা জীবনের অংশ হয়ে থাকবে। যাঁরা আত্মনির্ভরশীল মানুষ, জীবনে তাঁরা হিংসা বা ঈর্ষাকে প্রশ্রয় দেন না।

সাহিত্য সমালোচক পারুল সেহগালের মতে, হিংসা ক্লান্তিকর। এটা ক্ষুধার্ত আবেগ। হিংসা থেকে মুক্তি চান? সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার থেকে কিছুটা বিরত থাকুন। ফেসবুক হালনাগাদ, টুইট, ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট থেকেও হিংসা তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট, টিএনএন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত