ফুলের জুড়ি মেলা ভার ভালোবাসা প্রকাশে, বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে কিংবা রূপচর্চায়। ফুলের সুবাস শুধু আমাদের মন মাতায় না, একইসঙ্গে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর রস খুবই কার্যকরী। তবে এটাই শেষ কথা নয়। সম্প্রতি গবেষকরা বলেছেন, খাদ্য হিসেবেও ফুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফুল খেলে শরীরের নানা জটিল অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর হয়। ফুলে ফেনোলিকস ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন গবেষকরা।

এবার জেনে নিন, কোন ফুলগুলো রোগ নিরাময়ে কার্যকারী-

গোলাপ
ফুলের রাজা গোলাপে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিকস ও জ্বালাপোড়া বিরোধী উপাদান রয়েছে। তাই চিনা চিকিৎসায় এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে এই ফুল। এতে বিদ্যমান উচ্চমানের ভিটামিন হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমায়।

গাঁদা
গাঁদা ফুলের বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় তা চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

জবা
জবা সাধারণত সালাদ ও চা-এ গুঁড়ি করে মিশিয়ে খেতে হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্থোসাইয়ানিনস; যা নিম্ন রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

চন্দ্রমল্লিকা
ক্যামোমিলের মতো চন্দ্রমল্লিকা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল থাকায় তা ক্যান্সার এবং বিরোধীজনিত প্রদাহ রোধে সাহায্য করে।

জেসমিন
জেসমিন সুগন্ধি ফুল হওয়ায় তা চা ও সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে; যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

পিওনি
মনোমুগ্ধকর পিওনি শুধু বিয়ে বা নান উৎসবের মঞ্চ সাজানোর জন্যই উত্তম নয়। এটি খাদ্য হিসেবেও বেশ উপাদেয়। নিয়মিত এটি খেলে হাইপার টেনশন থেকে মুক্ত থাকা যায়।

প্যানসিজ
প্যানসিজ ফুলে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি শুধু মনকে প্রফুল্ল রাখে না, বরং এটি নিয়মিত খেলে হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

ল্যাভেন্ডার
সাধারণত আইসক্রিম ও দই এর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় এই সুগন্ধি ফুলটি। এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে বেশ উপকারী। এছাড়া খুশকি নির্মূলেও ভূমিকা রাখে ল্যাভেন্ডার।

ক্যামোমিল
চায়ের সঙ্গে এই ক্যামোমিল ফুল মিশিয়ে খেলে মন অনেক শান্ত হয়। একইসঙ্গে এটি বিরোধী প্রদাহ, ক্যান্সার এবং ক্ষত নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।