নিউজ ডেস্ক

২০ এপ্রিল, ২০১৫ ১৪:৫৩

কোন দলিল রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা

জমি বায়না করলেন, কিনলেন, অতঃপর রেজিস্ট্রি। রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা প্রয়োজন জেনে নিন আগেভাগে।
খেয়াল করলে দেখা যায় এই বিষয়টি নিয়ে মানুষজন সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয় এবং মধ্যস্বস্তভোগি কিংবা দালালদের মাধ্যমে অনেক টাকাই গচ্ছা দি থাকে।

* বায়নানামা দলিলের ফি
১. ৫০০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি নয়।
২. ১২৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়।
৩. ২৩৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি।

* হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের ফি
১. মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন (শরিয়ত) মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক ঘোষণা রেজিস্ট্রির জন্য সম্পত্তির মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিস্ট্রি ফি ৪৪০ টাকা।
২. যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তান, দাদা-দাদি (নানা-নানি) ও নাতি-নাতনি, সহোদর ভাইরা, সহোদর বোনরা এবং সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।

* বন্ধকি দলিলের ফি
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২-এর ধারা ৫৯ মোতাবেক বন্ধকি দলিলের প্রদেয় রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ-
১. ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ২০ লাখ টাকার কম হলে ১৩৪০ টাকা।
২. ২০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৩৪০ টাকা।
৩. ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৫০০০ টাকা।
* ঋণ বাবদ মঞ্জুরীকৃত টাকার ১ শতাংশ কিন্তু ২০০ টাকার কম নয় ও ৫০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ কিন্তু ১৫০০ টাকার কম নয় ও ২০০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক এক শূন্য শতাংশ কিন্তু ৩০০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার বেশি নয়।

* বণ্টননামা দলিলের ফিসের হার (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত)
১. ৫০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকা হলে।
২. ৭০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৩. ১২০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৪. ১৮০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৫. ২০০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে।

* শুধু দলিলের রেজিস্ট্রি ফি
যত টাকা মূল্যের দলিল রেজিস্ট্রি করা হোক না কেন তাতে শতকরা দুই টাকা হারে রেজিস্ট্রি ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত